বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড- বেফাকের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচিত মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী মাত্র ৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। নির্বাচনে আল্লামা মাহমুদুল হাসান ৬৪ ভোট পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমি পেয়েছেন ৫০ ভোট।
শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় বেফাকের মজলিসে আমেলার বৈঠকে সদস্যদের গোপন ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে মনোনীত হয়েছেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, এবং জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরের মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। মাহফুজুল হক প্রয়াত শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের ছেলে, তিনি এরআগে বেফাকের সহকারী মহাসচিব ছিলেন। মাওলানা মাহফুজুল হক পেয়েছেন ৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিলেটের গওহরপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু পেয়েছেন ৪০ ভোট।নির্বাচিত হওয়া ভারপ্রাপ্ত সভাপতি যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার মুহতামিম এবং গুলশানের আজাদ মসজিদের খতিব।
নির্বাচনে সভাপতি পদে আরও চারজনসহ মোট সাতজন প্রার্থী ছিলেন। বাকি চারজনের মধ্যে মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী এবং মাওলানা সাজিদুর রহমান দুই ভোট করে পেয়েছেন। অন্য দুজন একটা করে ভোট পেয়েছেন। বেফাকের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ১৪৭ জন সদস্যের মধ্যে ১২৫ জন সভায় উপস্থিত ছিলেন।সভাপতি পদে নির্বাচনের পর মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদি বেফাকের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে নূর হোসাইন কাসেমীর নাম প্রস্তাব করেন। তা সমর্থন করেন জুনায়েদ বাবুনগরী। পরে মাহমুদুল হাসানও তাতে সমর্থন দিলে সবাই সে প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন বেফাকের সহসভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস। সঙ্গে ছিলেন খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জের মাদ্রাসায়ে নূরে মদিনার মুহতামিম আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী ও ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা জাফর আহমদ।
কওমি মাদ্রাসার সরকার স্বীকৃত সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেফাকের সভাপতিই হবেন আল-হাইয়াতুল উলইয়ার সভাপতি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যিনি বেফাকের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হবেন, তিনি হাইয়াতুল উলইয়ারও কো-চেয়ারম্যান হবেন।