ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন ::
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৫৭২-৬৩১৭৪৫
বিজ্ঞপ্তিঃ ::
আমাদের পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ sylhetertimes24@gmail.com

স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়মের প্রশ্নে ঠিকাদার বললেন, ‘সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব আমরা চালাই

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের টাইমস এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ছাঁদের ঢালাই কাজে নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহারের খবর পেয়ে সচেতন এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাও।

তবে সেখানে উপস্থিত না থাকায় ঠিকাদার নজরুল মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন সাংবাদিকরা। ফোনে তিনি বলেন, ‘আপনারা পেপার কাটিং করলে চিন্তা কইরা কইরেন! আমরা বর্তমান জগতের বাহিরে না। আমরা দেশ চালাইবার চেষ্টা করতাছি। সরকারের স্বার্থে সরকাররে সাহায্য করতাছি। সারা দেশজুড়েই হৈহল্লা চলতেছে। একটা বিষয়ের উপরে নিউজ কইরা দিবেন? সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব আমরা চালাই। নেতা-নেত্রী নিয়াই চলতাছি।’

 

স্থানীয়দের সামনে ভবন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশেই আমরা কাজ করছি। তিনি বলার পরেই আমরা কাজ শুরু করি। ইঞ্জিনিয়ার তো এখানে আছেনই।’

 

তবে উপস্থিত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘এই কাজে ব্যবহৃত বালু এখনও আমরা টেস্ট করিনি। টেস্টের আগেই কাজ চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

 

একাধিক শ্রমিক জানান, নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহারের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক দিন আগেও সরকারি প্রকৌশলীর দ্বারা ‘রিজেক্ট’ হওয়া প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট বালু ছাঁদের ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ দুলালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।

 

বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের খবর পেয়েছি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’

 

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। আরও দুজন সাংবাদিক ফোন করেছিলেন। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার হয়ে থাকলে কাজ বন্ধ করে দিতে বলেছি এবং বালুর নমুনা এলজিইডি অফিসে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।’

 

ঠিকাদারের বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এধরনের কথা বলা একেবারেই অনুচিত। আমরা এসবের সাথে নেই।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়মের প্রশ্নে ঠিকাদার বললেন, ‘সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব আমরা চালাই

আপডেট সময় : ০২:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ছাঁদের ঢালাই কাজে নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহারের খবর পেয়ে সচেতন এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাও।

তবে সেখানে উপস্থিত না থাকায় ঠিকাদার নজরুল মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন সাংবাদিকরা। ফোনে তিনি বলেন, ‘আপনারা পেপার কাটিং করলে চিন্তা কইরা কইরেন! আমরা বর্তমান জগতের বাহিরে না। আমরা দেশ চালাইবার চেষ্টা করতাছি। সরকারের স্বার্থে সরকাররে সাহায্য করতাছি। সারা দেশজুড়েই হৈহল্লা চলতেছে। একটা বিষয়ের উপরে নিউজ কইরা দিবেন? সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব আমরা চালাই। নেতা-নেত্রী নিয়াই চলতাছি।’

 

স্থানীয়দের সামনে ভবন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশেই আমরা কাজ করছি। তিনি বলার পরেই আমরা কাজ শুরু করি। ইঞ্জিনিয়ার তো এখানে আছেনই।’

 

তবে উপস্থিত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘এই কাজে ব্যবহৃত বালু এখনও আমরা টেস্ট করিনি। টেস্টের আগেই কাজ চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

 

একাধিক শ্রমিক জানান, নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহারের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক দিন আগেও সরকারি প্রকৌশলীর দ্বারা ‘রিজেক্ট’ হওয়া প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট বালু ছাঁদের ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ দুলালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।

 

বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের খবর পেয়েছি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’

 

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। আরও দুজন সাংবাদিক ফোন করেছিলেন। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার হয়ে থাকলে কাজ বন্ধ করে দিতে বলেছি এবং বালুর নমুনা এলজিইডি অফিসে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।’

 

ঠিকাদারের বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এধরনের কথা বলা একেবারেই অনুচিত। আমরা এসবের সাথে নেই।