সংবাদ শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে, নিম্নাঞ্চলের অনেক মানুষ পানিবন্দী
কুলেন্দু শেখর দাস
- আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
গত কয়েকদিনের টানা অবিরাম বৃষ্টিপাত, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ষোলঘর পযেন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২৩২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের ছাতক পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার প্রধান নদী সুরমা,কুশিয়ারা যাদুকাটা ও কালনী নদী পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর,শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে এখন পানি বাড়তে শুরু করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অধিক বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জ শহরের কাজির পয়েন্ট,উকিলপাড়া,নতুনপাড়া,বড়পাড়া সাহেববাড়ি ঘাট,ষোলঘর হাজিপাড়া,জামতলা,সুলতানপুর,পাঠানবাড়ি ও নবীনগরসহ পৌর এলাকার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি ঘরে উঠায় সাদারন জনগনের র্দূভোগ বেড়েই চলেছে। ফলে নিম্নআয়ের মানুষজন বন্যার আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে জেলা শহরের সাথে -বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিপুর,দিরাই শাল্লার একমাত্র সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান,এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মাঝারি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে বড়ধরনের বন্যার কোন আশংঙ্কা আপাতত নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে দুপুরে দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় আসন্ন বন্যা মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুৃতি গ্রহনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকল জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।