সিলেটে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী রিমান্ডে
- আপডেট সময় : ০৬:০২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে পুলিশ অ্যাসল্ট ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৩ নেতা-কর্মীকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিলেট কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার ১৩ জনকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
এ সময় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক শারমীন খানম তাঁদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের আইনজীবী হিসেবে রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেন তিনি। এ ছাড়া আসামিদের আইনজীবী হিসেবে এ টি এম ফয়েজ, এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম, আশিক উদ্দিন, মোমিনুল ইসলামসহ শতাধিক আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
রিমান্ডের আদেশ হওয়া আসামিরা হলেন সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাবেক সহসাংগঠনিক মো. আবদুস সালাম, যুবদলের নেতা পারভেজ আহমদ, রাজু আহমেদ, ছাত্রদলের নেতা কামরুল হাসান, ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য জুনায়েদ হোসাইন, সাইফুল ইসলাম, মো. হাফিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ লাহিন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বদরুল ইসলাম, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও জাসাস নেতা সিরাজ উদ্দিন।
এর আগে ২ মে বিকেলে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকায় ছাত্রদলের মিছিল থেকে ৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার রাতে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানার শাহজালাল (র.) তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (ফাঁড়ি ইনচার্জ) কাজী জামাল উদ্দিন মামলা করেন। এতে পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় আরও কয়েকজনকে পরে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
সিলেটে বিভিন্ন মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫০ নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আসামিপক্ষে আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আদালতে পুলিশ রিমান্ড আবেদনে বলেছে, আসামিরা আরও নাশকতামূলক কাজ করতে পারেন।
তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তবে আমরা এর বিরোধিতা করে বলেছি, মামলার বিবরণের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি গায়েবি মামলা। এ ধরনের মামলা রিমান্ড দেওয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।’