শিরোনাম
সিলেটের সকল নৌকা প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে রাহেল সিরাজের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল সিলেট বিভাগে নৌকার মাঝিদের সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের অভিনন্দন গোলাপগঞ্জে মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকী থানায় জিডি প্রহসনমূলক অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবীতে সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান তফসিল প্রত্যাখ্যান করে সিলেট নগরীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর উঠান বৈঠক মোগলাবাজার জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প ও ছানি অপারেশন অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বিএনপি, জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দক্ষিণ সুরমা আ’লীগের শান্তি সমাবেশ
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

দিরাইয়ে প্রত্যয়নপত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষের তোলকালাম কাণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
তোলকালাম কাণ্ড
ছবি: হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাজিদুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জের রাইয়ে টাকা নিয়ে প্রত্যয়নপত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। প্রত্যয়ন দেয়ার পর প্রতিবেদন দিতে গিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ওই অধ্যক্ষ। দিরাই উপজেলার হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার দিরাই উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার বেতাওকা গ্রামের টিপু চৌধুরী ১৯৯৯ সালে হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। সম্প্রতি তার পাসপোর্টের বয়স সংশোধনীর জন্য স্কুলের প্রত্যয়নপত্রের প্রয়োজন দেখা দেয়। তিনি প্রত্যয়নপত্র আনতে গেলে অধ্যক্ষ (ওই স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক) প্রত্যয়নপত্রের জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। এরপর প্রত্যয়নপত্রটির সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিন তদন্তে যান পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা। ওইদিন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি মোবাইলে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে টিপু চৌধুরী বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মর্মে নিশ্চিত করেন এবং স্বশরীরে এসে রেজিস্ট্রার খাতা দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

পরে প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টিপু চৌধুরী মোবাইল ফোনে অনুরোধ জানালে তিনি এ কাজের জন্য প্রথমে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় মোবাইল কথোপকথনে প্রতিবেদন দেয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন অধ্যক্ষ মো. সাজিদুল ইসলাম।

টিপু চৌধুরী বলেন, প্রথম দফায় অধ্যক্ষ আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এতো টাকা আমি কোথা থেকে দেব! তাই দ্বিতীয় দফায় উনার সাথে ফোনালাপ আমি মোবাইলে রেকর্ড করি। তখন রিপোর্ট দিতে হবে জানিয়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমার কাছ থেকে পুর্বে ৫ হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টিও তিনি ফোনালাপে স্বীকার করেছেন। প্রধান শিক্ষক ও টিপু চৌধুরীর কল রেকর্ড এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. সাজিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাজিরা খাতায় টিপু চৌধুরীর নাম আছে। তবে তার স্কুলে ভর্তি সম্পর্কিত তথ্য আমি খোঁজ করে পাইনি। টিপু চৌধুরীর ক্লাসমেট দুই-তিনজনের অনুরোধে আমি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি। কোন টাকা-পয়সা নেইনি। মোবাইল কথোপকথনের রেকর্ডের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হবে।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তথ্যসূত্র: সিলেট ভিউ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ