উচ্চ পর্যায়ে ঘুষ-দুর্নীতি। নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি

- আপডেট সময় : ০৬:০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে
চলমান প্রেক্ষাপট ও রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের বিভিন্ন রিপোর্ট, আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, চাউলের দাম সহ মব জাস্টিস বিষয়ে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক গত ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বন্দরবাজারের কুদরত উল্লাহ মসজিদ মার্কেটের ৩য় তলায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস জরিপে বলা হয়েছে সরকারি সেবা নিতে প্রায় ৩২ শতাংশ নাগরিককে ঘুষ দিতে হয়। রক্তাক্ত জুলাই গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহনের পর জাতি খুব বেশি আশা করেছিলো অন্ততপক্ষে সরকারি সেবা নিতে সেবাগ্রহিতা দুর্নীতি, ঘুষ ও দুর্ভোগ থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
রাষ্ট্রসংস্কার, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দুর্নীতি রোধে শক্তিশালী ন্যায়পাল কার্যক্রম শুরু হয়নি। সম্পদের হিসাব দাখিলের বিধান, স্বাধীন দুদদক, স্বাধীন ইসি, গণপরিষদ নির্বাচন সহ সুশাসন নিশ্চিতে ১১ মাসেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। স্বাধীনতার পর থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন সরকারের মত এই সরকারও ব্যর্থ হলে ইতিহাসের কাঠগয়া দাঁড়াতে হবে।
সভায় গণমাধ্যমে প্রকাশ অন্তর্বর্তী সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দে অর্ধেকই চট্টগ্রামের জন্য। শ্রমবাজার সংকোচিত, বিদেশে কর্মসংস্থান বন্ধ। সিলেটের পাথর কোয়ারি থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার পাথর লুটকারী ও প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চাউলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও মব জাস্টিস দমনে এই সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ উল্লেখ্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, উচ্চ পর্যায়ে ঘুষ-দুর্নীতি দমনে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় জনগণের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
’২৪ এর মূল দর্শন ছিলো বৈষম্যের অবসানে রাষ্ট্র সংস্কার, দুঃখী মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মিাণে পটভূমি তৈরি করা। কিন্তু এটা না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকে ব্যক্তিগত ফয়দা হাসিল করছেন বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
দেশের প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ স্থাপন ও উপজেলাগুলোতে আদালতের কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জোর দাবী জানান বক্তগণ। পাশাপাশি সিলেটের নয়ণাভিরাম সৌন্দর্য রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার ও সিলেট প্রশাসনের গৃহিত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশীদ এডভোকেট, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ অরুন কুমার দেব, সিনিয়র সদস্য সরোজ ভট্টাচার্য্য, রংমহল টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি সমাজসেবী আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় সদস্য, জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লায়েক মিয়া, অরুণ চন্দ্রনাথ এডভোকেট, যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন,
সভায় আগামী ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দুর্নীতি বিরোধী দাবীর সমর্থনে আগামী ১৯ আগস্ট সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে একটি জনসভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি