‘মেসির সমালোচনাকে বিবেচনায় নিয়েছে বার্সেলোনা’
- আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০১ বার পড়া হয়েছে
অনেক টানাপোড়েনের পর লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও গোপন রাখেননি নিজের অসন্তোষ। গেল সপ্তাহে স্প্যানিশ ক্লাবটির বোর্ডের পরিকল্পনাহীনতা নিয়ে হতাশা জানান তিনি। ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের কথা দিয়ে কথা না রাখা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে মেসির কঠোর সমালোচনার পরও মুখে কুলুপ এঁটে ছিল কাতালানরা। এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে প্রতিক্রিয়া এসেছে বার্সার বোর্ডের কারও কাছ থেকে।
বার্সার সহ-সভাপতি পাউ ভিলানোভা স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক স্পোর্তের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে পাল্টা জবাবের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং তার কণ্ঠে ছিল নমনীয়তা আর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ন্যু ক্যাম্পে থেকে যাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস, ছিল মেসির সমালোচনাকে ‘গঠনমূলক’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখার মনোভাব।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বার্সেলোনার নতুন কোচ রোনাল্ড কোমান মেসিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রেখে তারুণ্যনির্ভর একটি দল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুক্রবার ভিলানোভার কথাতেও পাওয়া গেছে একই ছাপ, ‘আমরা খুব খুশি যে, মেসি আমাদের সঙ্গে থাকছে এবং একটি রোমাঞ্চকর প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। আপনাকে তার কথাগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। আর সেকারণে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করছি। পাশাপাশি একটি নতুন, তাজা ও আকর্ষণীয় প্রকল্প শুরু করছি।’
গেল ২৫ অগাস্ট বুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষকে ক্লাব ছাড়ার বার্তা পাঠান মেসি। এরপর যেন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো জ্বলতে শুরু করে ফুটবল দুনিয়া। অবিশ্বাস্য এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ফুটবল অনুরাগীরা। মেসির প্রতি থেকে যাওয়ার আকুতি জানিয়ে ন্যু ক্যাম্পের বাইরে জড়ো হন হাজারো সমর্থক। রব ওঠে ক্লাব সভাপতি বার্তোমেউয়ের পদত্যাগেরও। তবে ৭০০ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজের কারণে বার্সা ছাড়ার ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি মেসির। আদালতের শরণাপন্ন না হয়ে দশ দিনের উত্তাপ-উৎকণ্ঠার পর রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফরোয়ার্ড সিদ্ধান্ত পাল্টে বার্সায় থাকতে মনস্থির করেন।
তবে নিন্দুকদের তো বটেই, অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, এতকিছুর পর মেসি কি আগের মতো নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার মানসিকতায় থাকবেন? ভিলানোভা যা ভাবছেন, তাতে আশ্বস্ত হতে পারেন বার্সা সমর্থকরা, ‘যে কোনো পেশায় আমাদের নিজেদের অবস্থান নিয়ে সংশয় তৈরি হয় এবং তারপর অনেক ভাবনাচিন্তা করে আমরা থেকে যাওয়া কিংবা বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।