ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে হাফিজদের পাগড়ি বিতরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান দক্ষিণ সুরমায় মনির উদ্দিন আহমদ মেধাবৃত্তি প্রদান সম্পন্ন জামেয়া মোহাম্মদিয়া সিলেটের শিক্ষার্থীদে মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ দরিদ্রদের মধ্যে ঈকোয়ালিটি সোসাইটি সিলেটের কম্বল বিতরণ সিলেট সদর উপজেলার ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে ধান দিয়ে তৈরি ২১ ফুট উচ্চতা সরস্বতী প্রতিমা।  জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে! জনতার বাঁধার মুখে ট্রাক আটক! কথিত চাঁদাবাজির অভিযোগ!  কোরআন শিক্ষা নিতে গিয়ে হুজুর কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা সিলেটে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বাসদের মিছিল সমাবেশ

নিজের তৈরি বিমান উড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন মোবাইল মেকানিক হিরন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

বিমান উড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন মোবাইল মেকানিক হিরন

সিলেটের টাইমস এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাগুরার বিনোদপুর বাজারের মোবাইল মেকানিক হিরন। হিরণ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর মোল্যাপাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে।নিজের তৈরি বিমান আকাশে উড়িয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন
এরইমধ্যে ৪২ ইঞ্চি দৈঘ্যের খেলনা প্লেন তৈরি করে আকাশে উড়িয়ে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন। তিনি খেলনা হিসেবে জেট ফাইটার বিমান ও প্লেন তৈরি করে আকাশে উড়িয়েছেন এবং স্পিডবোট তৈরি করে পানিতে চালাতে সক্ষম হয়েছেন। যার কন্ট্রোল করা হয় রিমোট দিয়ে। হিরণ উপজেলার বিনোদপুরের মোল্যাপাড়া এলাকার এক অসহায় দিনমজুর পরিবারের ছেলে।

হিরণ অভাব অনটনের সংসারে থেকেও লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠা আলো ঝলমলে সদা হাস্যোজ্জ্বল যুবক। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে ২০১৩ সালে দিনমজুর বাবা আবুল খায়ের মারা যান। মা তাসলিমা বেগম ও দুই ভাইয়ের অভাবি সংসারের হাল ধরতে আর লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে হিরণ ছোট।

অভাবের সংসারে চাহিদা মিটাতে এবং তিন বেলা খাবারের জন্য শিশুকাল থেকেই ভ্যান চালানো, গ্যাস লাইট মেরামত ও গ্যাস ভরাসহ নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে। তার আয় উপার্জনে বড় ভাই এসএসসি পাস করে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে তিনি বেকার হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

হিরণের আয়ে এখন চলছে চার সদস্যের পরিবার। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে পিছিয়ে নেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের লেখাপড়া না জানা হিরণ।

আঠারো বছর বয়সী হিরণ বিনোদপুর বাজারে এনামুলের মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে বেতনভুক্ত সামান্য একজন কর্মচারী। মাসিক বেতন ৪ হাজার টাকা। কিন্তু হিরণের তুখোড় মস্তিষ্ক থেমে থাকেনি কখনো। মেধাবী হিরণ মনের আনন্দেই খেলনা হিসেবেই তৈরি করেছে ৪২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ২৯ ইঞ্চি প্রস্তর দুটি প্লেন, দুটি জেট ফাইটার বিমান ও দুটি স্পিডবোট।

খেলনা হলেও প্লেন আকাশে উড়তে সক্ষম। অনেক গতিতে চারদিকে দুই কিলোমিটার ঘুরে আসতে পারে এ প্লেন। স্পিডবোটও পানিতে চলতে পারে। ব্যাটারির চার্জ কমে গেলে একটা সংকেত দেয়, যার ফলে এটাকে হিরণ নামিয়ে আনতে পারে। খেলনা হিসেবে এলাকায় বিক্রয়ের জন্য তৈরি করলেও ব্যয় বেশি হওয়ায় এটা তিনি বিক্রি করতে পারেননি।

আট থেকে দশ হাজার টাকা ব্যয় হয় প্লেন-বিমান বা স্পিডবোট এর একটি তৈরি করতে। যদি ভালো কোনো পৃষ্টপোষক পায় তাহলে হিরণ এটিকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করবে বলে জানায়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নিজের তৈরি বিমান উড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন মোবাইল মেকানিক হিরন

আপডেট সময় : ০৬:০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাগুরার বিনোদপুর বাজারের মোবাইল মেকানিক হিরন। হিরণ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর মোল্যাপাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে।নিজের তৈরি বিমান আকাশে উড়িয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন
এরইমধ্যে ৪২ ইঞ্চি দৈঘ্যের খেলনা প্লেন তৈরি করে আকাশে উড়িয়ে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন। তিনি খেলনা হিসেবে জেট ফাইটার বিমান ও প্লেন তৈরি করে আকাশে উড়িয়েছেন এবং স্পিডবোট তৈরি করে পানিতে চালাতে সক্ষম হয়েছেন। যার কন্ট্রোল করা হয় রিমোট দিয়ে। হিরণ উপজেলার বিনোদপুরের মোল্যাপাড়া এলাকার এক অসহায় দিনমজুর পরিবারের ছেলে।

হিরণ অভাব অনটনের সংসারে থেকেও লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠা আলো ঝলমলে সদা হাস্যোজ্জ্বল যুবক। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে ২০১৩ সালে দিনমজুর বাবা আবুল খায়ের মারা যান। মা তাসলিমা বেগম ও দুই ভাইয়ের অভাবি সংসারের হাল ধরতে আর লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে হিরণ ছোট।

অভাবের সংসারে চাহিদা মিটাতে এবং তিন বেলা খাবারের জন্য শিশুকাল থেকেই ভ্যান চালানো, গ্যাস লাইট মেরামত ও গ্যাস ভরাসহ নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে। তার আয় উপার্জনে বড় ভাই এসএসসি পাস করে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে তিনি বেকার হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

হিরণের আয়ে এখন চলছে চার সদস্যের পরিবার। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে পিছিয়ে নেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের লেখাপড়া না জানা হিরণ।

আঠারো বছর বয়সী হিরণ বিনোদপুর বাজারে এনামুলের মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে বেতনভুক্ত সামান্য একজন কর্মচারী। মাসিক বেতন ৪ হাজার টাকা। কিন্তু হিরণের তুখোড় মস্তিষ্ক থেমে থাকেনি কখনো। মেধাবী হিরণ মনের আনন্দেই খেলনা হিসেবেই তৈরি করেছে ৪২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ২৯ ইঞ্চি প্রস্তর দুটি প্লেন, দুটি জেট ফাইটার বিমান ও দুটি স্পিডবোট।

খেলনা হলেও প্লেন আকাশে উড়তে সক্ষম। অনেক গতিতে চারদিকে দুই কিলোমিটার ঘুরে আসতে পারে এ প্লেন। স্পিডবোটও পানিতে চলতে পারে। ব্যাটারির চার্জ কমে গেলে একটা সংকেত দেয়, যার ফলে এটাকে হিরণ নামিয়ে আনতে পারে। খেলনা হিসেবে এলাকায় বিক্রয়ের জন্য তৈরি করলেও ব্যয় বেশি হওয়ায় এটা তিনি বিক্রি করতে পারেননি।

আট থেকে দশ হাজার টাকা ব্যয় হয় প্লেন-বিমান বা স্পিডবোট এর একটি তৈরি করতে। যদি ভালো কোনো পৃষ্টপোষক পায় তাহলে হিরণ এটিকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করবে বলে জানায়।